চট্টগ্রামের মানুষের কাছে শিক্ষার আলো ও স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিয়েছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী

500

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, মেয়র থাকাকালীন সময়ে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামে শিক্ষার আলোর ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। মহিউদ্দিন চৌধুরী জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য সেবা।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন ।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রাম নগরীতে সরকারী অর্থায়নে নতুন করে সরকারী স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়র থাকাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ৪৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২০টি কলেজ, ১টি বিশ্ববিদ্যালয়, ১টি পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার ইনস্টিটিউট, ৫টি কম্পিউটার ক্যাম্পাস, ৭টি কিন্ডারগার্টেন, ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৫০টি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করেন। এছাড়া ৪টি সংস্কৃত টোল, ১টি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ১টি গণশিক্ষা কেন্দ্র, ১টি থিয়েটার ইনস্টিটিউট ও ১টি পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেন এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

এছাড়াও টানা ১৭ বছর মেয়র থাকাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম নগরীতে ব্যাপক স্বাস্থ্য সেবা মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছিলেন। মেয়র থাকাকালীন সময়ে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ৪১টি নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠান করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অধীনে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরন করা হতো। বর্তমানে এই ৪১টি নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। চসিকের মালিকানাধীন ৭৮টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৭টি প্রতিষ্ঠান করেছেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। সিটি করপোরেশন মেমন মাতৃসদন হাসপাতালকে ১৪ বেড থেকে ১০০ বেডে উন্নীতকরণ করেন তিনি । এছাড়াও আরো চারটি হাসপাতাল, মিডওয়াইফারি ইনস্টিটিউট নার্সিং সেন্টারসহ দুটি স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১৪টি হোমিও সেন্টার নির্মান করেন তিনি। মেয়র থাকাকালীন সময়ে ওয়ার্ডভিত্তিক ডিসপেনসারি, বিভিন্ন ওয়ার্ডে ছোট ছোট হাসপাতাল ও হালিশহরে ফার্মাসিউটিক্যাল ফ্যাক্টরি নামে একটি ওষুধ ফ্যাক্টরি করেছিলেন।

স্মরনসভায় আমির হোসেন আমু বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী রাজনীতি ছিল সৃষ্টিশীল ও সেবাধর্মী রাজনীতি। চট্টগ্রামের উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল। চট্টগ্রামকে ভালোবাসতেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। তাঁকে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার পদ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি নেন নাই। তিনি চট্টগ্রামে থাকতে চাইতেন। বিরোধী দল থাকাকালিন দুইবার তিনি মেয়র হয়েছেন। তিনি ছিলেন চট্টলপ্রেমিক। চট্টগ্রামবাসীর জন্য তিনি যে নির্দশন গুলো রেখে গেছেন ওগুলো পর্থনিদর্শন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
স্মরণসভায় মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম। এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, অ্যাডভোকেট সুনীল সরকার, সহ সভাপতি ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।