বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলন, বিজয় মঞ্চে স্মৃতিচারণা শুরু

386

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিজয় মঞ্চের স্মৃতিচারণা। বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল পরিষদ নেতৃবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে বিজয় মশাল জ্বালেন। তারপর তা তুলে দেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের হাতে।

ব্যান্ডের তালে তালে আর জয় বাংলা স্লোগানের সাথে বিজয় টাওয়ারে মশাল দিয়ে বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলন করা হয়। এরপর বিজয় মঞ্চে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণা পর্ব। ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গনে স্থাপিত বিজয় মঞ্চে স্মৃতিচারণায় অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা ও জ্যেষ্ঠ নেতারা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা তাদের বিজয়ের শিখা আগামী প্রজন্মের হাতে তুলে দিয়েছেন। আমরা তরুণ প্রজন্ম, আমাদের সেই শিখা জাগ্রত রাখতে হবে। কিভাবে আমরা সেটা রাখব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ চর্চার মাধ্যমে। শৃঙ্খলার সাথে রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সুন্দর দেশ উপহার দিয়েছেন। আগামীতে আমরা যেন একটি সুশৃঙ্খল জাতি গড়তে পারি। আসুন, আমরা সবাই দেশ গড়ার জন্য আদর্শের চর্চার শপথ নিই। সময় এসেছে শৃঙ্খলাবোধ ও আর্দশের চর্চা করে জননেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি মহানগর আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, আজকের এই মঞ্চে আমার দাঁড়াবার কথা নয়। আজ এখানে আপনাদের প্রিয় এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর থাকার কথা ছিল। আজ আপনাদের একটি কথাই বলে যাব, উনি আজ যদিও নেই, তার সাথে আপনাদের আত্মার মিলন হয়েছে তাই আজ এত বড় সমাবেশ হয়েছে। একদিন আমার স্বামীকে আমি চট্টগ্রামের জনগণের কাছে, দেশের জন্য উৎসর্গ করেছিলাম। আজ আপনাদের সামনে তারই সন্তান, আমার সন্তান নওফেলকে আপনাদের কাছে উৎসর্গ করে গেলাম।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ মাস বিজয়ের মাস। এ মাস স্বাধীনতা অর্জনের মাস। এ মাসে জাতির জনকের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধে অনেক ভাইকে অনেক মা-বোনকে আমরা হারিয়েছি। ৩০ লাখ মানুষ মাতৃভূমির জন্য সেদিন জীবন দিয়েছিলেন। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি এ পতাকার সম্মান রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। এই বিজয় মেলা মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে আমরা শুরু করেছিলাম। মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ কথনো হারিয়ে যেতে পারে না। আবার দেশের ডাক আসতে হবে, আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে।

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, আমরা তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে ভবিষ্যত বাংলাদেশ গড়তে চাই। এ দায়িত্ব তোমাদের হাতে দিয়ে যেতে চাই। তোমরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যাবে সুন্দর আগামীর পথে।

মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য চন্দন ধর, শফিক আদনান, মশিউর রহমান চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা জহর লাল হাজারী, নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, শ্রমিক লীগ নেতা মাহবুবুল হক চৌধুরী এটলী, আওয়ামী লীগ নেতা হাসান মনসুর, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল প্রমুখ।