মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার ৩১তম ‘বিজয় শিখা’ প্রজ্জ্বলন

476


৩১তম মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও ‘বিজয় শিখা’ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে মৌলবাদের মূলোৎপাটনের প্রত্যয় করেছে চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সামনে বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে বিজয়মেলার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এবার পণ্যমেলা হচ্ছে না। আলোচনা সভাতেই সীমাবদ্ধ থাকছে বিজয়মেলা।

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের আয়োজনে অস্থায়ী মঞ্চে সংক্ষিপ্ত পরিসরে বিজয় মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একটি অশুভ শক্তি দেশকে রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল করে তুলতে চায়। তারা বঙ্গবন্ধুকে টার্গেট করেছে। তথ্য-প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের এই অগ্রযাত্রায় তারা বাঙালির কৃষ্টি-সংস্কৃতি-প্রগতিশীল চেতনা ধ্বংস করতে চায়। যারা মুক্তিযাদ্ধের বিরোধিতা করেছে, যারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সমর্থন দিয়েছিল, তারাই এখন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিচ্ছে। মৌলবাদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে। স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতে মৌলবাদের মূলোৎপাটন করতে হবে।


মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের কো-চেয়ারম্যান নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং মেলা পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুন চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য দেন পরিষদের কো-চেয়ারম্যান হাসিনা মহিউদ্দিন, মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনূছ, পাল্টু লাল সাহা, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আনোয়ারুল আজিম, সৈয়দ মাহমুদুল হক, চন্দন ধর, মশিউর রহমান, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, ন্যাপের মিটুল দাশগুপ্ত, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু, নুরুল আজিম রনি, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।
আলোচনা সভা শেষে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলার প্রতিষ্ঠাতা সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্র বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীনের হাত দিয়ে মশাল জ্বালিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের দিয়ে শিখা প্রজ্জ্বলন করা হয়। এরপর জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করে মেলার কার্যকর্ম শুরু করা হয়।