স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন পালন করেছে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ।
বঙ্গবন্ধু’র জন্মদিন উপলক্ষ্যে বুধবার মেলা পরিষদের কার্যালয়ে দিবসটি পালনের পারম্ভে বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এসময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ সহ রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। পরে এক আলোচনা সভা শেষে কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনূছের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার মাহাবুবুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবূ ছৈয়দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা পঙ্কজ দস্তীদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল মিত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল হক চৌধুরী বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজল কান্তি দে, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুশীল বিকাশ নাথ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কিরন লাল আচার্য। মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মাহমুদুল হক। বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কাজী রাজেশ ইমরান, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নূরুল আজিম রনি, আরফাত মান্নান ঝিনুক, জয়নুদ্দিন জয়, মহানগর যুবলীগ নেতা এসকে মাহমুদ হিরু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড-চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক কামরুল হুদা পাভেল, যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম, মিজানুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাৎ সালাম শাওন, মাইনুনুল ইসলাম, আনোয়ার পলাশ, তানভীর মেহেদী মাসুদ, আরিফুল ইসলাম, ঐশিক পাল, ইনজামুল ইমু প্রমূখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্মেছিলেন বলেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তিনি যদি না জন্মাতেন আমরা আজও পাকিস্তানের দাসত্বের নিগড়ে আবদ্ধ থাকতাম। তার জন্ম না হলে ভাষা আন্দোলন পূর্নতা পেতো না। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান হতো না; ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান না হলে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে পারতাম না; বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে মুক্ত না হলে ’৭০-এর নির্বাচনে পাকিস্তানে আমরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারতাম না; আর পাকিস্তানে যদি আমরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারতাম, তাহলে ৯ মাস যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করতে পারতাম না। বাংলাদেশের স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন এবং দেশও উপহার দিয়েছেন। তিনি ছিলেন বিশ্ববরেণ্য মহান নেতা।