মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তিকে বিতাড়িত করার প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে বিজয় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নেতৃত্বে সোমবার সকালে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সামনের চত্বর সড়ক থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়।
শোভাযাত্রা উদ্বোধন করে নওফেল বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে মুক্তিযু্দ্ধবিরোধী সব অপশক্তিকে আমরা চিরবিদায় জানাব। “এই প্রজন্ম স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে পরিত্যাগ করেছে এবং করতে থাকবে।”
শোভাযাত্রায় অংশ নেন বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মশিউর রহমান ও চন্দন ধর, উপ-দপ্তর সম্পাদক জহর লাল হাজারী, যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, নগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী এটলী প্রমুখ।
শোভাযাত্রার শুরুতেই ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছবি। এরপর ফুলে সজ্জিত দুটি ঘোড়ার গাড়ি।
বাংলাদেশ মেরিটাইম ইন্সটিটিউট, বিএনসিসি, ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ পুলিশ, জেল পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, শিল্প পুলিশসহ বিভন্ন সংগঠনের বাদক দল, স্বেচ্ছাসেবক ও প্রতিনিধিরা জাতীয় পতাকাসহ বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়ে এতে অংশ নেয়।
পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে তাদের সঙ্গে যোগ দেন। মাথায় লাল-সবুজ টুপি পড়ে অংশ নেন চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধারা।
শোভাযাত্রাটি নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড় হয়ে জামালখান, চেরাগী পাহাড় মোড়, আন্দরকিল্লা, কোতোয়ালী মোড়, নিউমার্কেট মোড়, এনায়েত বাজার ও লাভ লেইন হয়ে বিজয় মঞ্চ প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।
বিজয় মেলা পরিষদের আয়োজনে চট্টগ্রামে প্রতি বছর বিজয় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহায়তা করে। বিজয় শোভাযাত্রায় সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
সুত্র- বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর.কম